সোনারঙ ডানার ছায়ায় একটা ফরিঙ উড়ছে দিনভর। একটা পাতার গতরে লিখে যাচ্ছে প্রেমের শায়েরি। ভোর থেকে পাখিদের গলা আর বিধুর আলাপের সূত্র ধরে—একটা রেওয়াজি গোলাপ গড়িয়ে পড়ছে,দুপুর। সমৃদ্ধির বরতনু অভিসারে কথারা ফিরে ফিরে আসে। বাক্যের শেষ অক্ষরে গেঁথে থাকে শীতানু ডিসেম্বর। যতটুকু পথের আয়োজন,তোমার-আমার মিহি মিঠে প্রেম,ততটুকু বাঁচিয়ে রাখি প্রহর। গুনে রাখি ৩×৫= ১৫। পুনম ডিসেম্বর। ভুল করে তারারা নেমে এলে—শমন খোঁপায় ডুবিয়ে রাখি চোখ । অপলাপের চৌহদ্দি ছাড়িয়ে— তোমার বাড়ির ঠিকানায় পৌঁছে যায় কবিতার সুবাস। জানলায় প্রেম জমছে। বাড়ির ছোট মেয়ে তুমি—নোটবুকে এঁকে নিচ্ছ যদু প্রেমিকের স্কেচ।
জলমগ্ন রোদ
°
অপরাহ্ন—গোধূম আলোয় লেখা হচ্ছে বিবস্ত্র ছাতিমগন্ধার গান। এই পৌষে—প্রথমা আকর হিশেবে গ্রন্থিত হচ্ছে নারকীয় টোপ। গলিপথে ছড়ায়ে আছে— বেবুন ভূমের আন্ধার। লহুলহু খুনের পসরা আর সন্দিগ্ধ চোখের উপহাস। পথ মুছে গেলে—চেনা পাঠ ছাপিয়ে অনার্য হয়ে ওঠে দিনমান। তল্লাটজুড়ে চৌর্যবৃত্তির নিমগ্নতা। উপোস সারথি মেঘে—ক্রমশ ঘন হয় দ্রবীভূত ক্লেদ। দৃশ্যত ভুলে যাওয়া সুর—রোদন,মাতম। একটা ক্লান্তিকর রাতের অপেক্ষায়—ভাতঘুমে এলায়ে থাকে জলমগ্ন রোদ।