Where is the end of life?
Where does the unknown flower bloom?
Dear, where is our first night?
I see great shelter in your eyes.
জীবনের এমনকিছু কথা থাকে—যা কাউকে কখনো বলা যায় না। একা একা পুড়ে যেতে হয়। বলতে হলেও সেই যে বুকের ভেতর উসখুস অনুভূতি, তা ফুরোয় না। আমি আজ আপনাদের জানিয়ে দিব সেদিনের অযাচিত বিমল জীবনের কথা। আমার বন্ধুরা যেভাবে আমাকে প্রতারিত করেছিল—আমি যাদের পাশে থেকে বহুদিন না খেয়ে বেঁচে থেকেছি শুধু অমনোনীত প্রতিশ্রুতির ফলে। জীবন এমন অসুস্থ কোলাবোরেশান প্রকল্পের মতো—যা খুব ধীরে ধীরে এগোয়, তারপর মরিচীকায় আবদ্ধ হয়ে যায়।
২.
আমরা নিরাপদ জীবনের দাবিদার—কিন্তু দেখুন প্রিয় বন্ধু—ভৌগলিক সীমারেখার ক্ষেত্র নিয়ে যাই বলুন না কেন, আমরা জাতিগত বৈষম্যের শিকার, আমাদের মন ছোটো। আমরা অন্যের উপকার করতে জানি না। সারাদিন অপরাপর সকল আলোকিত মানুষের প্রতি ঘৃণা ছুঁড়ে ফেলি। আমাদের সঙ্গেই কেন এমন হয়। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে শত হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যায়। আমরা ব্রিটিশদের শাসিত ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষ।
আমার দূরের বন্ধু কখনো এভাবে জোরগলায় কথা বলে। আমি চুপসে থাকি। নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখলেই গা বেঁচে যায়। জনগণের অধিকার বা নিজের অধিকারের খোঁজ নেয়ার মতো সময় আমাদের নেই।
৩.
আমি ছুটে যাচ্ছি পৃথিবীর মৌনকাতর মানুষের ভাবনার ত্রিসীমায়—যেখান থেকে উদিত হয় কবিতার মতো নৈসর্গিক অনুরঞ্জন। তার শবদেহ ছাই হয়ে উড়ে গেলে খুব একা লাগে—তবু নিঝুম বিকেল, সমুদ্রের পাড় ঘিরে দাঁড়িয়ে থাকে সুসংবৃত জীবন।
হঠাৎ আজ সকাল থেকে একটা গানের পঙ্ক্তি মাথার ভেতর ভ্রমরার মতো ঘুরছে। একটা না, কয়েকটা গানের কিছু পঙ্ক্তি। নাজাত আল সাগিরা/নাগাত আল সাগিরা’র ‘আনা বাশাক এল বাহার’। কি জাদুময় সুর, মিশরের আরেক কিংবদন্তি শিল্পী উম্মে কুলসুম। উম্মে কুলসুমের প্রতি আমার অপরিসীম মুগ্ধতা। এত মোহনীয় সুরের জাদুকর এরা—আমি মিশর গেলে অন্তত নাগিব মাহফুজ এবং উম্মে কুলসুমের গ্রাম থেকে ঘুরে আসার স্বপ্ন দেখি।
এন্তা উমরি… বলে যখন কুলসুম দীর্ঘ টান দেয়, তখন মনে হয় আমার হৃদয় বিদীর্ণ হয়ে যাচ্ছে। আমি চোখ বন্ধ করে শ্বাস নিতে থাকি আর কুলসুমের প্রেমে পড়ে যাই। তাকে ভালোবেসে ফেলি।
আবারও শুনছি
I love the sea
Tender as you are
And at times, like you, crazy…
কিন্তু, খুব আবেগতাড়িত হয়ে পড়লাম যখন The black day of Egypt এর ছোট্ট একটা ক্লিপ দেখলাম। ১৯৭৪ সালের ৪ ই ফেব্রুয়ারি কিংবদন্তি উম্মে কুলসুম প্রয়াত হন। আর মিশরের জনসাধারণ নেমে পড়েন রাস্তায়। রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেয়া হয় তাকে। মানুষের হা-হুতাশ দেখেই মনে হল মিশরের মানুষের মধ্যমণি ছিল উম্মে কুলসুম। যার সুরের যাদুতে ভেসে গেছে আরববিশ্বের অগণিত মানুষ, তাদের মধ্যে আমিও এক হতভাগ্য, স্বপ্নের বিমূঢ়তায় ডুবে যাই।
৪.
যাকিছুই ঘটে যাক—এতসব ঘটনা মূলত জীবনেরই পটভূমি। তথাপি নীরস পৃথিবীতে আজও কিছু প্রাণ ছুটে চলে সেই কিশোর জীবনের পানে। ওল্ড ইজ গোল্ড। আমাদের পুরোনো দিনের মতো, নব্বই দশকের মতো স্নিগ্ধ জীবন পৃথিবীতে আর আসবে না।
You will face many defeats in life, but never let yourself be defeated.
—Maya Angelou
জীবন-কে পরাজিত হতে দেয়া যায় না। আমাদের মন তো এমন—একটুতেই ভেঙে পড়ি।
No matter what the situation is…
Always Enjoy it in a positive way.
যেকোনো পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিতে শিখেছি তাই—আমাকে এমনভাবে বিপর্যস্ত করে গিয়েছে সে। তারপর আমিই এখন মানুষের বদল হওয়া জীবনের পারাবতে একটা সবুজ উদ্যান নির্মাণের কথা বলি।
৫.
তথাপি ফুল ফোটে প্রতিদিন। বিমর্ষ পাখিরা উড়ে যায় গভীর বনে। আমি বসে থাকি একটা হিমঋতু স্মৃতির পিঠে। তখন নিশ্চয়ই এমন শীতকাল—ঘন কুয়াশার রাতে আমরা সমুদ্রপাড়েই বসে ছিলাম ভোর পর্যন্ত, দিনের রৌদ্রস্নান সেরে ঢুকে পড়ি হোটেলের নরোম বিছানায়।
কিন্তু, কোথায় সেইসব দিন! আমি এখন সেই নিঃসঙ্গ ট্রেনলাইন—যা মরিচীকা ধরে তার ফাঁকফোকর হতে বৃক্ষলতা, সবুজ ঘাস জন্ম নেয়। তবুও গতি হতো—যেন কোনো নিশ্চল উন্মাদ, গেঁয়ো আঁধারে বসে থাকা নীরব উন্মূল।
৬.
তথাপি ফুল ফোটে প্রতিদিন, প্রেমের অলিন্দে নিশ্চয়ই আবারও ফুটবে রঙিন প্রচ্ছদ—সময়ের তারে ঝুলে কী প্রতীক্ষায় চেয়ে আছি! তুমি দূরে, স্নোফলের দেশে বসে ভাবছো—আমি কেমন আছি।
যা-কিছুই ঘটে যায়—কত রং বদল হয়। তথাপি ফুল ফোটে প্রতিদিন, আমাদের উদ্বাস্তু জীবনে।